নোহান আরেফিন নেওয়াজ : শান্তিগঞ্জে পুলিশের নির্যাতনে উজির মিয়া হত্যার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান বলেছেন, আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়, তদন্ত প্রতিবেদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।প্রতিবেদনে যদি পুলিশের নির্যাতনে উজিরের মৃত্যুর আলামত পাওয়া যায় তাহলে সে আইনের লোক বা যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের বাগেরকোনা শত্রুমর্দন গ্রামে উজির মিয়ার বাড়ি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় উজির মিয়ার নিহতের ঘটনা ও পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে কোন ধরনের কারচুপি করার সুযোগ নেই। যা সত্য তাই প্রমানিত হবে। আপনারা নিশ্চিত থাকুন এবং ধৈর্য্য ধরুন। আমি আপনাদের এলাকার সন্তান হিসেবে বলছি এই বিষয়ে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই এলাকায় নিয়ে আসব। বিচারের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রেজাউল আলম নিক্কু, পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হক, মন্তীর একান্ত রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসাইস, শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কাজী মুক্তাদীর হোসেন, উপজেলা তাতীলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা সহ আরো অনেকে।
এর আগে গত বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে গরু চুরির এক মামলার সন্দেহজনক আসামি হিসেবে নিজ বাড়ি থেকে নিহত উজির মিয়াকে গ্রেফতার করে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।
পরদিন বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) আদালত থেকে জামিন পেয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। পরে ২১ ফেব্রুয়ারী সকালে উজির মিয়া পুনঃরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর দুপুরে নিহত উজির মিয়ার মরদেহ নিয়ে তার স্বজনরা পুলিশের নির্যাতনে উজির মিয়ার মৃত্যুর অভিযোগ করে পাগলা বাজারে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এঘটনায় পুরো এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভে অংশ নেন। প্রায় ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখার পর প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সুবিচারের আশ্বাসে এলাকাবাসী অবরোধ প্রত্যাহার করেন। এঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।