ছাতক প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ছাতকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা আবুল কালামকে হত্যার ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই জামাল মিয়া বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা (নং-২৮, তাং-২৫,০৮,২০২০ইং) দায়ের করেন।
এ মামলায় নুর আলী ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
হত্যার দায় স্বীকার করে নূর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম জানিয়েছেন।
জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামের মৃত ছমির আলীর ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালামকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সোমবার বেলা দেড়টার দিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে পিটিয়ে হত্যা করে একই বাড়ির মৃত জমসেদ আলীর ছেলে নূর আলীসহ অন্যান্য সহযোগীরা। রহিম উদ্দিনের স্কুল পড়ুয়া ছেলে ভাতিজা ফাহিমকে আঙ্গিনায় বাই সাইকেল চালাতে বাঁধা দেয়ায় চাচা আবুল কালাম প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তারা পিটিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে মঙ্গলবার সকালে লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। বিকেল ৪টায় স্থানীয় পীরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা নামায শেষে দাফন করা হয় পঞ্চায়েত কবরস্থানে।
আবুল কালামকে পিটিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা ধাওয়া করে পীরপুর গ্রামের মৃত জমসেদ আলীর ছেলে নূর আলী ও মৃত মদরিছ আলীর ছেলে শাহ আলককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান জানান, আটক দু’আসামীকে এ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামী নূর আলী স্টীলের পাইপ দিয়ে আবুল কালামের বুকে আঘাত করে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চলছে এবং স্টীলের পাইপটি জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে এ হত্যাকান্ডের সংবাদ পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, সুনামগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সাহেব আলী পাঠান। এসময় সাথে ছিলেন ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন, থানার ওসি মোস্তফা কামাল, ওসি (অপারেশন) মিজানুর রহমান ও গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান।