বিশেষ প্রতিনিধি
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠার ৮ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধের ছাত্রদলের ভূমিকা রাখার বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক তানভীর চৌধুরী বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গতকাল সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক টিমের সাংগঠনিক সফর ছিল তাহিরপুর উপজেলায়। এই সাংগঠনিক টিম লিডার ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক তানভীর চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্য কালে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ৪ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের দেয়া তাঁর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় তোলেন নেতাকর্মী। একজন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা সন জানেন না। এমন ব্যক্তিকে কিভাবে একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্ন তোলছেন অনেকেই।
মুহূর্তেই মধ্যেই তার বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হলে চারদিকে সমালোচনার ঝড় ও ট্রল করতে দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে।
অনেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দিকে আঙ্গুল তুলছেন। তাদের কাছে প্রশ্ন রাখেন কিভাবে একজন আনকোড়া লোককে জেলা ছাত্রদলের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়?
জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে তৃনমুলের ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে বিভিন্ন টিম করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন উপজেলায় ও কয়েকটি সাংগঠনিক টিম করে দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক টিম। গতকাল শনিবার জেলার তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি প্রতিনিধি সভা যোগ দেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও টিম লিডার তানভীর চৌধুরী। সেখানেই তিনি এই বক্তব্য রাখেন।
এই বিষয়ে দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ বলেন, যে তানভীর আমাদের এলাকার কোন সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল না সেই তানভীরকে কিভাবে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? আমরা তা জানি না। তার এই ধরণের বক্তব্য শুনে অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কিভাবে একজন আনকোড়া লোককে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? আজ আমরা লজ্জিত। তার এই ধরণের বক্তব্য ঐতিহ্যবাহী ছাত্রদলের সুনাম নষ্ট করেছে।
বক্তব্যের ব্যাপারে তানভীর চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনের সুইচ অফ পাওয়া যায়।