মাওলানা হাবিবুর রহমান কুবাজপুরী
রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের এক মাত্র হাফিজে কোরআন।সর্বমহলে যিনি বিলাল হাফিজ সাহেব নামে পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ হাফেজে কোরআন।সুদক্ষ হাদিস বিশারদ। সুমধুর কন্ঠের অধিকারী।শিক্ষা জীবন থেকে যার অগাধ পাণ্ডিত্যের কথা লোক মুখে শুনে আসছি।গতকাল প্রিয় ওস্তাদজীর জানাযায় বিজ্ঞজন উনার নানাবিধ গুণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। যা পূর্বে কারো কাছ থেকে শুনা হয়নি আমার।ছাত্র জীবনে উনার মামা বিখ্যাত শায়খুল হাদীস আল্লামা মাওলানা শায়খ উসমান গণী রহঃএর সান্নিধ্যে লাভ করেছিলেন।যিনি ছিলেন ইলমের সমুদ্র। হুজুর রাহিমাহুল্লাহ ছাত্র জীবনে কুবাজপুর মাদরাসায় কৃতিত্বের সাথে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন সমাপ্তি করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য জগন্নাথপুরের ঐতিহ্যেবাহী সৈয়দপুর টাইটেল মাদরাসায় ভর্তি হয়ে সেখানে সুনামের সহিত দীর্ঘ দিন লেখা পড়া করে মাদরাসার সুনাম সুখ্যাতি ধরে রাখেন।পরিবর্তিতে ইলমের অমিয় সুধা পান করতে চলে যান সিলেটের ঐতিহাবাহী শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ জামেয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদ পুরে ভর্তি হয়ে তাকমীল ফিল হাদিস সমাপ্ত করেন।জামেয়া থেকে ফারিগ হওয়ার পর তিনি কর্মজীবনে তিনি চলে যান।কর্মজীবনে প্রথম দিকে তিনি জগন্নাথপুরের বিভিন্ন মাদরাসায় হাদিসের দরস দেন।কুবাজপুর দারুল উলুম মাদরাসায় দীর্ঘ দিন শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।পাশাপাশি কুবাজপুর শাহী জামে মসজিদের খতিব ছিলন।পরে তিনি আঙ্গুরা মুহাম্মদ পুর জামে মসজিদে ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।রমজানুল মোবারকে সুমধুর কণ্ঠে দোয়ারা বাজারে রাজনপুর জামে মসজিদে নামাজে তারাবীর ইমামতি করেন। পাশাপাশি আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর মহিলা মাদরাসায় ইলমে হাদিসের দরস দেন।পরে তিনি অসুস্থ হওয়ার পর বাড়িতে চলে আসেন।অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে তিনি খাদিজাতুল কুবরা রাযিঃমহিলা মাদরাসা ইছগাও,কুবাজপুর জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ। এর সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে নিযুক্ত হোন।কয়েক বছর শিক্ষকতা করার পর অবসরে চলে যান।অসুস্থতা যখন তাকে চতুর্থদিকে ঘিরে রাখে শেষ উন্নত চিকিৎসার জন্য হযরত কে সিলেট ঔসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।অদ্য ২৬-০১/২০২১ ইং রোজ মঙ্গলবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে মাওলায়ে হাকিকীর ডাকে চলে যান।ঐতিহ্যবাহী কুবাজপুর দারুল উলুম মাদরাসা মাঠে শায়খুল হাদিস ওসমান গণী রহঃ এর সাহেবজাদা মাওলানা মোফাজ্জল হুসাইন সাহেবের ইমামতি নামাজ জানাযা সম্পন্ন করেন।আল্লাহ পাক হযরতের কবরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে দেন।